সাইকোলজির মাইরপ্যাচ

একই ট্রেডিং সিস্টেম দিয়ে যদি ৩ জন ট্রেড করে সেখানে দেখবেন তিনজনের দৃষ্টিভঙ্গি, সাইকোলজি কিন্তু আলাদা আলাদা হয়ে যায়। উদাহারন হিসেবে নিতে পারেন যারা সিগনাল নিয়ে ট্রেড করে তাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা কি হয়। দেখা যায় ২০ জন ফলো করছে একজনের সিগনাল। কোন মাসে লস হলে তো আলটিমেট সবার লস হবেই, আবার কোন মাসে যদি সিগনাল প্রভাইডার প্রফিট করে তারপরো অনেকে লসে পড়ে থাকেন। কারন সিগনাল উনি প্রপারলি ফলো করেন নি। প্রফিটের গুলো মাঝপথে ছেড়ে দিয়েছেন আর লসের গুলো পুরো সময়টা ধরে পুরো লসটা নিয়েছেন।

ঠিক তেমনি দেখা গেলো একটা সিস্টেম ৩ জন মিলে শিখেছেন তার মাঝখান থেকে কেউ নিয়মিত ভালো করে যাচ্ছে, আবার কেউবা লস করে একাউন্ট লাল করে ফেলছে। এটাই হচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গি। অনেক সময় দেখবেন একটা এন্ট্রি ফর্ম হবার পরেও আমরা কনফিউসড হয়ে যাই। নেবো নেবো করেও নিতে পারি না। কিন্তু পরে যখন দেখি দেখা যায় আপনার এনালাইসিস মতে ঠিকই মার্কেট মুভ করেছে। তখন মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছা করে। এজন্য আমি মাঝেমাঝে বলি ভালো এনালিস্ট হওয়া আর ভালো ট্রেডার হওয়া সম্পূর্ন আলাদা জিনিস। একজন ট্রেডার এনালাইসিস করে সেই ট্রেডকে এক্সিকিউট করে, তারপর সেই ট্রেড ম্যানেজমেন্ট করে প্রফিট ম্যাক্সিমাইজ করার চেষ্টা করে। এর মাঝখানের সময়টা নিজেকে সাইকোলজিক্যালি স্ট্রং রাখা, স্থির রাখাটাই মূল চ্যালেঞ্জ।

আর একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন আপনার ট্রেডিং রুম বা জায়গাটা যেন হয় নিরিবিলি। যেন চারপাশের আওয়াজ বা আপনার মনোযোগ অন্য দিকে নিতে পারেন এমনটা না হয়। আর ট্রেডের সময় পুরো মনযোগটা ট্রেডিং টার্মিনালে দেবার চেষ্টা করেন। এন্ট্রি এক্সিকিউট করার পর একটু রিল্যাক্স থাকতে পারেন তারপর মাঝেমাঝে সেই ট্রেডকে ব্রেক ইভেন সেট করা, ট্রেইলিং স্টপ দিয়ে দেয়া সহ বাকি কাজগুলো করে যেতে পারেন। চেষ্টা করবেন বড় টাইমফ্রেমে ট্রেড করার, তাহলে দেখবেন বেশ অনেকটা স্ট্রেস ফ্রি থাকতে পারবেন।