Productivity বাড়াবেন কিভাবে?
আমরা আমাদের দিনের খুব বড় একটা সময় ব্যয় করি আমাদের স্মার্টফোনে। এটার ব্যবহার যদি সীমিত করা যায় তাহলে হয়তো আমাদের অন্যান্য অনেক কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়ানোটা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। আমি বলছিনা আপনি স্মার্টফোন ব্যবহার করা বাদ দিবেন। কিন্তু আমি অনেক বড় বড় ট্রেডার, ইনভেস্টর, মানি ম্যানদের দেখেছি তারা সাধারন বেসিক ফোন ব্যবহার করে থাকেন। বেশিরভাগ কল, এসএমএস পড়া সব সেই বেসিক ফোনের মাধ্যমেই সম্পন্ন করে থাকেন। ইমেলের জবাব, টুইটারে টুইট এসব কিছু দেখা যায় তারা তাদের ডেস্কে বসেই করে। মোটকথা যেখানের কাজ সেখানে। রাস্তার ধারে দাড়িয়ে মেইল করা, ফেসবুক নোটিফিকেশন চেক করা আমাদের অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে। দিনের একটা সময় বরাদ্দ রাখার চেষ্টা করুন ফেসবুকের জন্য, কিছু সময় বরাদ্দ রাখুন ইউটিউবের জন্য। এভাবে যদি আমরা সময়কে মেইনটেইন করে চলতে পারি তাহলে আমরা হয়তো অনেক সময় অপচয় করা থেকে নিজেদের বিরত রাখতে পারবো। আমি যে কাজগুলো করার অভ্যাস করছি সেগুলো নিচে উল্লেখ করলাম। আপনারাও ট্রাই করতে পারেন।
- স্মার্টফোনটি নেট ডিসকানেক্ট করে পকেটে রেখে দিন। যখন প্রয়োজন হবে ঠিক তখন প্রয়োজনে নেট কানেকশন দিয়ে প্রয়োজন শেষ করে আবার ডিসকানেক্ট হয়ে যান।
- ফেসবুক, মেসেঞ্জারসহ যে সকল এপের নোটিফিকেশন আসে সেগুলো ডিসেবল করে রাখুন যেন আপনার গুরুত্বপূর্ন কোন মুহুর্তে সেগুলো টুংটাং শব্দ করে আপনার মনোযোগে বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
- ঘুমানোর সময় ফোনটি আপনার বিছানার আশেপাশে না রেখে দূরে কোথাও রাখুন। এতে ভালো ঘুম হবে (গ্যারান্টেড)।
- সপ্তাহের একটা দিন স্মার্টফোন ছাড়া সারাদিন কাটানোর অভ্যাস করুন। বেসিক একটা ফোন সারাদিন ব্যবহার করুন।
আমি নিজে এগুলো মেনে চলার চেষ্টা করছি। শুরুতে যদিও একটু খারাপ লাগতো এখন মোটামোটি স্বাভাবিক হয়ে গেছে। পরবর্তী কোন পোষ্টে স্মার্টফোন কিভাবে একজনের বন্ধু বা শত্রু হতে পারে সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন।